রা’জশাহীর তানোর উ’পজে’লায় ৩০ ফুট উঁচু একটি খে’জুরগা’ছের মা’থায় উঠে না’মা’জ আ'দায় করে চাঞ্চল্য সৃষ্টি ক’রেছেন এক যু’ব’ক। তার নাম আব্দুর রহিম (২৮)।
সো’মবার বিকালে উ’পজে’লার কুঠিপাড়া গ্রামে ওই যু’ব’ক না’মা’জ আ'দায় করেন। না’মা’জ পড়া শেষে বাংলাদেশের জা’তীয় পতাকা গাছে উঁচিয়ে শ’হিদদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেন তিনি। রহিমের না’মা’জ আ’দায়ের সময় এলাকার শত শত মানুষ দাঁ’ড়িয়ে এ দৃশ্য দেখেন।
আব্দুর রহিম মো’হনপুর উ’পজে’লার মৌগাছি গ্রামের বাসিন্দা। জানা যায়, আব্দুর রহিম না’মা’জ আ'দায় ছাড়াও উপস্থিত লো’কজনে’র উদ্দেশ্যে কিছু কথাও বলেন। এর পর শা’রীরিক কিছু কসরত দে’খিয়ে গাছ থেকে নেমে পড়েন।এ’লাকাবাসী বলেন, আব্দুর রহিম নি’য়মিত না’মা’জ পড়েন। তিনি ক’বিরাজি বা ঝাড়ফুঁক করেন। রহিম খেজু’রগাছে’র ওপর নামাজ পড়ে সেখানে শা’রীরিক কসরতও দেখান। খে’জুরগা’ছসহ বিভিন্ন গাছে উঠে মা’ঝেমধ্যে উনি নামাজ পড়ে’ন
এবং গাছের ওপরেই খেলাধুলা দে’খান। ছোট থেকে রহিম এ’সব করেন।এদিকে না’মা’জ শেষে খে’জুরগাছ থেকে নেমে আব্দুর রহিম বলেন, জীবনের ঝুঁ’কি নিয়ে খে’জুরসহ বিভিন্ন গাছে উঠে খেলাধুলা দেখাই। তবে তার আগে আমি আ’ল্লা’হকে সন্তুষ্ট রা’খতে গাছের ওপরে দুই রাকাত নামাজ আ’দায় করি। কিছু খেলাধুলাও করি। এসব দেখে মানুষ কিছু টা’কাপয়সা দেন। তা দিয়ে সংসার ‘চা’লাই।তি’নি আরও জানান, তার জন্ম ব’গু'ড়ায়।
তবে রা’জশাহীর মোহনপুরে এসে বি’য়ে করে তিনি বেশ কয়েক বছর ধরে সে’খানেই ব’সবাস করছেন। এভাবে খেজুরগাছের ওপর উঠে না’মা’জ আ'দায়ের বিশেষ কোনো ফজিলত বা ধ’র্মীয় ফা’য়দা রয়েছে কিনা জানতে চাইলে রা’জশাহীর বিশিষ্ট ইস’লামী চিন্তাবিদ ও গবেষক ড. সাখাওয়াত হো’সাইন যু’গান্তরকে বলেন,এসব বিশেষ পা’গলামি ছাড়া আর কিছুই নয়। খে’জুরগাছে উঠে নামাজ আ’দায়ের কোনো দৃষ্টান্ত বা এর বিশেষ ফ’জিলতের কথা ই’স’লামের কোনো বিধিবিধানে নেই।
বেশি ফ’জিলতের জন্য ই’স’লামের বহু হাদিসে বিভিন্ন ই’বাদতের কথা বলা আছে। সে’গু'লো সহি কায়দায় আ’মল করতে পারেন যে কেউ। আ’ল্লা’হপাক তাতে খুশি হবেন। এদিকে শুধু আ’ব্দুর রহিমই নয়, এর আ’গে ২০১৪ সালে ২ নভেম্বর রা’জশা’হীর বাগমা’রার আক্কেলপুর গ্রামের মো’জাম্মেল হোসেন মো’জাম (৩৪) উঁচু খে’জুরগা’ছে উঠে না’মা’জ পড়ে চাঞ্চল্য তৈরি করেছিলেন। তিনি দুর্গাপুর মহিলা ক’লেজের পার্শ্ববর্তী একটি উঁচু খে’জুরগাছে উঠে চার রাকাত নফল না’মা’জ পড়েন।