নাগাল্যান্ডের প্রত্যন্ত গ্রামে হ’ঠাৎ সন্ধান পাওয়া গেল হীরক ভাণ্ডারের। মাটি খুঁড়লেই উঠে আ’সছে হিরের টুকরো। সোশ্যাল মিডিয়ায় খবর ছড়িয়ে পড়তেই কাতারে কাতারে গু''প্তধন সন্ধানী ভিড় করলেন ওয়ানচিং গ্রামে।
চলতি স'প্তাহের গোড়ায় নাগাল্যান্ডের মন জে’লার এই গ্রামে টিলার উপরের জ'ঙ্গল সাফ করার সময় মাটির নীচে বেশ কিছু স্ফটিকের টুকরো খুঁজে পান কয়েকজন গ্রামবাসী।
তাঁদের মুখ থেকে খবর ছড়িয়ে পড়ে গোটা গ্রামে। সকলেই ধ’রে নেন, ওই স্ফটিক নির্ঘা'ত হিরের টুকরো। স’'ঙ্গে স’'ঙ্গে হুড়োহুড়ি পড়ে যায় গ্রামে।সকলেই কোদাল-বেলচা-গাঁইতি কাঁধে পৌঁছে যান টিলার উপরের জ'ঙ্গলে।
শুরু হয় মাটি খুঁড়ে গু''প্তধন উ’'দ্ধারের চেষ্টা।এ দিকে অত্যুৎসাহীরা সেই ছবি ও ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার স’'ঙ্গে স’'ঙ্গে হিরে আবি'ষ্কারের গল্প ছড়িয়ে পড়ে দা’বানলের মতো।
তার জে’রে ওয়ানচিং গ্রামে ভিড় জমতে শুরু করে হিরে সন্ধানীদের। বাধ্য হয়ে বহিরাগতদের প্রবেশের উপরে নি’ষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ওয়ানচিং গ্রাম পঞ্চায়েত। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই সংক্রা'’ন্ত পোস্টের উপরেও জা’রি হয়েছে কড়া বিধি-নি’ষেধ।
এ দিকে মন জে’লার প্রত্যন্ত গ্রামের এই খবর পৌঁছেছে প্রশা’সনের কানেও। উ’'দ্ধার হওয়া স্ফটিকগু'’লি সত্যিই হিরে কি না,তা খতিয়ে দে’খতে ওয়ানচিং গ্রামের উদ্দেশে শুক্রবার রওনা হয়েছেন চার ভূ'তাত্ত্বিক।
৩০ নভেম্বর অথবা ১ ডিসেম্বরের মধ্যে তাঁদের গ্রামে পৌঁছানোর কথা। সরেজমিনে তদ’ন্তের পরে তাঁরা রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট জমা দেবেন।
মন জে’লার ডেপুটি কমি’শনার জা’নিয়েছেন, মাটির তলা থেকে উ’'দ্ধার হওয়া স্ফটিক আদৌ হিরে কি না, তাই নিয়ে যথেষ্ট সন্দে’হের অবকাশ রয়েছে। তবে হিরে না হলেও স্ফটিকগু'’লি কোয়ার্টজ জাতীয় পাথরের ভ'গ্নাবশে, বলে তিনি মনে করছেন।
বিভিন্ন কাজে সহায়ক হওয়ায় তার মূল্যও কিছু কম নয় বলে তাঁর দা’বি। ফলে তাতে উপকৃত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে স্থা’নীয়দের, মনে করছেন ডেপুটি কমি’শনার। যদিও বিশেষজ্ঞরা অনুসন্ধান না করা পর্যন্ত এই বি'ষয়ে কোনও মন্তব্য ভিত্তিহীন হবে বলেও তিনি জা’নিয়েছেন।
অন্য দিকে নাগাল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ'তত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক জি টি থং জা’নিয়েছেন, ‘পাথরগু'’লি সাধারণ কোয়ার্টজ স্ফটিক। নাগাল্যান্ডের বিভিন্ন প্রান্তে হা'মেশাই এই স্ফটিকের দেখা পাওয়া যায়।’ তাঁর মতে, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কেউ সরল গ্রামবাসীদের ভুল বুঝিয়ে ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে। মন জে’লা বা ওই অঞ্চলে এর আগে হিরের খোঁ’জ পাওয়া যায়নি বলেও জা’নিয়েছেন অধ্যাপক।