প্রথমবারের মত জ”ন্ম হারের চেয়ে মৃ;;ত্যু হার বেড়ে যাওয়ায় দম্পতিদের স”ন্তান নিতে উৎসাহিত করতে আর্থিক প্রনোদনা চালুর ঘোষণা দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। গত বছর দেশটিতে দুই লাখ ৭৫ হাজার ৮০০ শিশুর জ”ন্ম হয়, যা ২০১৯ সালের জ”ন্মহা”রের তুলনায় ১০ শতাংশ কম। কিন্তু মা;;রা গেছে প্রায় তিন লাখ সাত হাজার ৬৪ জন।
এই পরিসংখ্যানের পর দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জাতীয় নীতিতে মৌলিক পরিবর্তন আনার অনু;রোধ করা হয়েছে। জনসংখ্যার ক্রমান্বয়ে হ্রাস দেশটির ওপর ভ;;য়া;ব;হ চা;প তৈরি করেছে। তরুণ জনসংখ্যা কমে যাওয়ায় দেশটিতে শ্রমিক স;ঙ্ক;ট দেখা দিয়েছে যা প্রভাব ফেলেছে তাদের অর্থনীতিতে। গত মাসে দেশটির প্রেসিডেন্ট মুন জা জ”ন্মহা”র বাড়াতে ও সব পরিবারকে স’ন্তা’ন জ”ন্ম'দা”নে উৎসাহিত করতে নতুন কিছু নীতি প্রণয়ন করেছেন।
ওই স্কিমের অধীনে, ২০২২ সাল থেকে গ;;র্ভবস্থা;য় থাকা প্রতিটি শিশুকে প্র;স;বের আগের যা;বতীয় খ’রচ হিসেবে ২০ লাখ কোরিয়ান নগদ অর্থ (উন) অর্থাৎ এক লাখ ৫৬ হাজার টাকা বোনাস দেয়া হবে। শিশুর জ’ন্মে’র পর এক মাস হওয়ার আগ পর্যন্ত তিন লাখ উন মাসে দেয়া হবে। দম্পতিদের উৎসাহিত করতে ২০২৫ সাল থেকে প্রতি মাসে ওই অর্থের পরিমাণ বেড়ে হবে পাঁচ লাখ উন। দক্ষিণ কোরিয়ায় নারীদের কর্মক্ষেত্রের সাথে জীবনের অন্যান্য চাহিদার সামঞ্জস্য রাখায় নানা সমস্যার স’ম্মূ’খীন 'হতে হয়।
যা এমনটি হওয়ার জন্য দা’য়ী। হু’ন য়্যু কীম দক্ষিণ কোরিয়ার একজন নারী। তিনি চার ভাইবোনের মধ্যে বড়। তিনি তার নিজের একটি বড় পরিবারের স্বপ্ন দেখলেও তার পরিবারের অসহযোগিতার কারণে সন্তান পরিকল্পনার বি'ষয়টি নিয়ে তাকে পুনরায় ভাবতে হচ্ছে। তিনি সম্প্রতি নতুন একটি চাকরিতে যোগদান করেছেন। তাই মাতৃত্বকালীন ছুটি নিয়ে তিনি চিন্তিত। তিনি বলেন, সবাই আমাকে বলছে আগে ক্যারিয়ার তৈরি করা বেশি নিরাপদ। আ”বাসিক জমির দাম বৃ'দ্ধি এ পরিস্থিতির পেছনে আরেকটি গু'রুত্বপূর্ণ কারণ।
কিম বলেন, জমির দাম দ্রুত গতিতে বেড়ে যাওয়ার কারণে নব দম্পতিরা সন্তান নিতে অনাগ্রহ প্রকাশ করে থাকেন। বেশি সন্তান নেয়ার পর আপনার নিজের একটি বাড়ির প্রয়োজন হবে কিন্তু কোরিয়ায় যা অসম্ভব স্বপ্ন মাত্র।তিনি সন্তান জ”ন্ম'দা’নে উৎ;সাহিত করতে সরকারের নেয়া পদ'ক্ষেপ কার্যকারী নয় বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এটি সন্তান লালন-পালনের প্রক্রিয়াকে আরো ”ব্য”য়বহু”ল করে দেবে। সরকারের দ;ম্প’তিদের অতিরিক্ত অর্থ প্রদান এ স’ম’স্যার স’মাধান নয়।