না’য়ি‘কা হওয়ার ইচ্ছে নিয়েই নাচ শিখেছেন ক’লে’জ পড়ুয়া ছা’ত্রী তমা। স্বপ্ন ছিলো না’য়ি’কা হলে সারা দেশের মানুষ তাকে চি’ন’বে। তাকে দেখলেই ভীড় করবে দ’র্শ’করা। ছবি তোলবে। তাকে নিয়ে প্রায়ই সংবাদ প্র’কা’শ
হবে গণমা’ধ্য’মে। পাশাপাশি অর্থ উ’পা’র্জ’নও হবে। সেই স্বপ্ন নিয়েই না’রা’য়’ণগঞ্জের একটি নাচের স্কুলে ভ’র্তি হন। অল্প দিনেই নাচে পা’র’দ’র্শী হয়ে উঠেন ক’লে’জ পড়–য়া এই ছা’ত্রী। এরমধ্যেই বি’ভি’ন্ন অনুষ্ঠানের আ’ম’ন্ত্র’ন
আসতে থাকে। প’রি’চ’য় ঘটে শোবিজ জগতের তা’র’কাদের স'ঙ্গে। পারফর্ম করেন দেশের বি’ভি’ন্নস্থানে। এরমধ্যেই মুন্না নামের একজনের স’'ঙ্গে প’রি’চ’য়। বিদেশে বি’ভি’ন্ন অনুষ্ঠানে নাচ করার প্র’স্তা’ব দেন তিনি। ফরহাদ
তার বড় ভাই হন। প্রতি মাসে বে’ত’ন হবে ৭০ হাজার টাকা। ম’ধ্য’বি’ত্ত পরিবারের মেয়ে তমা। বাবা ক্ষুদে ব্য’ব’সা। দুই বোন, এক ভাই ও মা-বাবা নিয়ে তাদের প’রি’বা’র। অ’ভাব লেগেই থাকে।
২০১২ সালের আগস্ট থেকে সংযুক্ত আ’র’ব আমিরাতে বাংলাদেশের পেশাজীবীদের ভিসা দেওয়া বন্ধ । প’র্য’ট’ক ভিসা পাওয়াও সহজ নয়। কিন্তু এই চ’ক্রের ভিসা পাওয়ার বি’ষ’য়ে তেমন প্র’তি’ব’ন্ধ’কতা নেই। তিন মাসের
প’র্য’ট’ক ভিসা নিয়ে আরব আমিরাতে যান তারা। শারজায় একটি বারে নাচ করেন তমা। তারপরই ঘটে ঘ’ট’নাটি।অ’নে’ক কিছু ভেবে ফরহাদকে মেন নেন তমা। একজন পু’রুষ স’'ঙ্গী থাকতেই পারে। কিন্তু তখনও বুঝতে পারেননি
তার জন্য আরও খা’রা’প কিছু অ’পে’ক্ষা করছে। পরের রাতে এক আরবিয়ানের বাসায় বে’ড়া’তে নিয়ে যাওয়া হয় তমাকে। আরব ওই ব্য’ব’সায়ী, বাংলাদেশী ফরহাদসহ সেখানে ছিলো আরও দু’জন। বাসাতেই ছিলো নাচের
আ’য়ো’জ’ন। নাচ শেষে রাত গ’ভী’র। তখনই ফরহাদ বুঝিয়ে দেন আজ রাতটা সবার স’'ঙ্গেই কা’টা’তে হবে তাকে। তমা অ’নু’ন’য় করেন। ফরহাদ ছাড়া কারও শ’য্যা’স’'ঙ্গী হ’তে চান না তিনি। ফরহাদ জানান, শুধু নাচ
করে থাকা-খাওয়ার টাকাও আ’স’বে না। এসবই করতে হবে তাকে। আ’র’ব আমিরাতের বা’রে ঢুকতে গেলে ৫০ দিরহা'ম দিয়ে একটি টো’কে’ন ক্রয় করতে হয়। নাচ দেখতে হলে প’ছ’ন্দের ত’রু’ণীকে এই টো’কে’ন দিতে হয়। এই
টোকেন ত’রু’ণী হয়ে জমা হয় বার কর্তৃপক্ষের কাছে। কোন ত’রু’ণী ক’টা টো’কে’ন জমা দিলো তা লিখে রাখা হয়। মাসে অন্তত তিন শ টো’কে’ন সংগ্রহ হলে টোকেন সংগ্রহকারী ত’রু’ণীর বেতন হয় ৫০ হাজার টাকা।
টো’কে’ন কম হলে বেতন কমে যায়। এক প’র্যা’য়ে ইচ্ছের বি’রু’'দ্ধেই নিরবে ওই রাতে শ’য্যা স'ঙ্গী হন একে একে চার জনের। তারপর থেকেই প্রায় প্রতি রাতেই কারও না কারও স’'ঙ্গী হন তমা।
তমা জা’না’ন, ২০১৯ সালে দুবাই পু’লি’শ চার জনকে একটি নাইটক্লাব থেকে আ’ট’ক করেছিলো তাদের বয়স কম ছিলো। ওই ক্লাবে নি’য়’মি’ত নাচ করতেন তিনি। সংযুক্ত আ’র’ব আমিরাতের বি’ভি’ন্ন ক্লাবে নাচ করেছেন তিনি।
তিন মাস পর দেশে ফিরেন, আবার যান। তমা বলেন, মূ’ল’ত টাকা উ’পা’র্জ’নের জন্যই ছুটে যান সেখানে। ক’রো’নার কারণে দীর্ঘদিন যা’ব’ত দেশে রয়েছেন তিনি।