ঠাকুরগাঁওয়ে মেডিকেল কলেজে ভর্তি করিয়ে দেয়ার প্র'লোভন দেখিয়ে তরুণীকে ধ'র্ষণের অ'ভিযোগে বাদল মিয়া নামে এক ব্যক্তিকে গ্রে'ফতার করেছে পু'লিশ। বুধবার দুপুরে ঠাকুরগাঁও শহরের হোটেল সালাম ইন্টারন্যাশনালের একটি কক্ষ থেকে তাকে গ্রে'ফতার করা হয়। এর আগে সকালে প'র্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন,
নারী ও শিশু নি'র্যাতন দমন আইনের ধা'রায় ওই তরুণী বাদী হয়ে ঠাকুরগাঁও সদর থানায় একটি মা'মলা করেন। মা'মলায় বাদল মিয়াকে আ'সামি করা হয়।ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি তানভিরুল ইসলাম এ বি'ষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গ্রে'ফতারকৃত বাদল ময়মনসিংহ জে'লার নান্দাইল থানার হাটসিরা গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে।
পু'লিশ ও অ'ভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গ্রে'ফতারকৃত বাদল মিয়া ২০০৪ সালে ফা’য়ার সার্ভিসে ড্রাইভার পদে চাকরিতে যোগদান করেন। এরপর থেকেই তিনি বিভিন্ন মানুষকে চাকরি দেয়ার নাম করে টাকা আ'ত্মসাৎ করে আসছিলেন। এ কারণ তাকে বাধ্যতামূলক অবসর দিয়েছে ফা’য়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ।
চাকরির সুবাদে মা'মলার বাদীর স'ঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মেডিকেল কলেজে ভর্তি করিয়ে দেয়ার প্র'লোভন দেখিয়ে ও বিয়ের আশ্বা'স দিয়ে বাদীকে একাধিকবার ধ'র্ষণ করেন। কৌশলে ছবি ও ভিডিও ধারণ করেন। এরপর তরুণী বিয়ের জন্য চাপ দিলে আপ'ত্তিকর ভিডিও, ছবি ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার হু’মকি দেন।
বাদল ভুক্তভোগীর কাছ থেকে ৬টি ফাঁ'কা চেকের পাতা স্বাক্ষর করে নেন।ভুক্তভোগী জানান, গত ১২ জুলাই বাদল মোবাইল ফোনে তাকে হু’মকি দেন যে তার স'ঙ্গে দেখা না করলে তিনি ছবি, ভিডিও ও কথোপকথন ভাইরাল করে দেবেন। পরে ভয়ে তিনি শহরের হোটেল সালাম ইন্টারন্যাশনালে দেখা করেন।
এ সময় বাদল মিয়া জোর করে তাকে সেখানে নিয়ে ধ'র্ষণ করেন। এ বি'ষয়ে সদর থানা পু'লিশের ওসি তানভিরুল ইসলাম বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে পু'লিশের কাছে বাদল মিয়া এসব ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। তাকে আ'দালতের মাধ্যমে ঠাকুরগাঁও জে'লা কারা'গারে পাঠানো হয়েছে।