টা'ঙ্গাইলের গোপালপুরে প্রেমের ফাঁ'দে ফেলে এক স্কুলছাত্রীকে (১৫) ধ'র্ষণের পর হ'ত্যা করা হয়েছে। বেওয়ারিশ হিসেবে লা'শ দা'ফনের ৬ দিন পর এ ঘটনায় প্রেমিকসহ ৪ জনকে গ্রে'ফতার করেছে পু'লিশ। রবিবার (০৮ আগস্ট) দুপুরে টা'ঙ্গাইল পু'লিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পু'লিশ সুপার মোহা'ম্ম'দ সিরাজ আমীন সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
ধ'র্ষণের শিকার ওই স্কুলছাত্রী জে'লার গোপালপুর উপজে'লার বাসিন্দা। এবার এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল।গ্রে'ফতারকৃতরা হলেন- উপজে'লার বে'ঙ্গু'লা গ্রামের নগেন চন্দ্র দাসের ছেলে কৃষ্ণ চন্দ্র দাস (২৮), ধনবাড়ী উপজে'লার ইসপিনজারপুর গ্রামের মোশাররফ হোসেনের ছেলে সৌরভ আহমেদ হৃদয় (২৩),
একই গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে মেহেদী হাসান টিটু (২৮) ও মজিবর রহমানের ছেলে মিজানুর রহমান (৩৭)। সংবাদ সম্মেলনে পিবিআইয়ের পু'লিশ সুপার বলেন, ‘গ্রে'ফতারকৃত কৃষ্ণ চন্দ্র দাস প্রতারণা করে ব্যবসায়ী সানি আহমেদ (ছন্দ নাম) পরিচয়ে স্কুলছাত্রীর স'ঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে।
মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্কের পর গত ২ আগস্ট দেখা করার কথা বলে স্কুলছাত্রীকে স্থানীয় বাজারে ডেকে নেয়। পরে রেস্টুরেন্টে খাওয়া-দাওয়ার কথা বলে বন্ধু মিজানুর রহমানের ধনবাড়ী উপজে'লার চাঁলাষ মধ্যপাড়া এলাকার ভাড়া বাসায় নিয়ে যায়।সেখানে যাওয়ার পর স্কুলছাত্রী বুঝতে পারে সানি আহমেদ মুসলিম নয়।
তখন স্কুলছাত্রী পালানোর চেষ্টা করলে বাসায় আট'কে রাখে। সেখানে কৃষ্ণ চন্দ্র তাকে একাধিকবার ধ'র্ষণ করে। বি'ষয়টি জানাজানি হওয়ার আশঙ্কায় গলায় গামছা পেঁচিয়ে স্কুলছাত্রীকে হ'ত্যা করে কৃষ্ণ চন্দ্র দাস।’ পু'লিশ সুপার আরও বলেন, ‘হ'ত্যার পর সৌরভ, মেহেদী ও মিজানুরকে স'ঙ্গে নিয়ে লা'শ বস্তাব'ন্দি করে কৃষ্ণ চন্দ্র।
পরে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভাড়া করে যমুনা নদীতে ফেলে দেওয়ার জন্য নিয়ে যায়। সেখানে লোকজন থাকায় নদীতে লা'শ ফেলতে ব্যর্থ হয় তারা। একপর্যায়ে ভূঞাপুর-তারাকান্দি সড়কের পাশে লা'শ ফেলে রাখে।পরদিন দুপুরে ভূঞাপুর থানা পু'লিশ লা'শ উ'দ্ধার করে।
এরপর ময়নাত'দন্ত শেষে বেওয়ারিশ লা'শ হিসেবে ভূঞাপুরের একটি কবরস্থানে দা'ফন করা হয়। গত ৫ আগস্ট স্কুলছাত্রীর পরিচয় পাওয়া যায়।’ এ ঘটনায় ভূঞাপুর থানায় মা'মলা হলে ত'দন্তের দায়িত্ব পায় পিবিআই। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে পিবিআই মূল আ'সামিসহ চার জনকে গ্রে'ফতার করতে সক্ষম হয়।
রবিবার আ'দালতের মাধ্যমে তাদের কারা'গারে পাঠানো হয়। স্কুলছাত্রীর বাবা বলেন, ‘নিখোঁজের তিন দিন পর পু'লিশের কাছ থেকে জানতে পারি মেয়েকে হ'ত্যা হয়েছে। তার লা'শটিও আমর'া পাইনি। ছবি দেখে শনাক্ত করেছি। মেয়ে হ'ত্যায় জড়িত সব আ'সামির ফাঁ'সি চাই আমি।