বিয়ের আগে পাত্র-পাত্রীর কয়েকটি মেডিক্যাল পরীক্ষা করানো অতি আবশ্যক। এখনকার সমাজ অনেক এগিয়ে।
বাবা-মায়ের প্রজ’ন্ম এর মাহাত্ম্য না বুঝলেও, আজকালকার আধুনিক ছেলেমে’য়েরা কিন্তু এর গু'রুত্ব বোঝে। ফলত, বিয়ে করে আপশোস করার চেয়ে পাত্র/পাত্রীর স্বাস্থ্য কেমন, সেটাও খতিয়ে দেখে। এক্ষেত্রে পাত্র/পাত্রীর বাড়ির লোকেরও তৎপরতা প্রয়োজন। বিয়ের আগে কী কী মেডিক্যাল টেস্ট করানো উচিত জেনে নেওয়া যাক
যৌ''aনসং’ক্র’মণ আছে কি না: অর্থাৎ সে'ক্সুয়ালি ট্রান্সমিটেড ডিজ়িজ় (STD) । এখনকার ছেলেমে’য়েরা সে'ক্সের ব্যাপারে অনেকটাই এগিয়ে। বিয়ের আগেই অনেক রকম অ’ভিজ্ঞতা হয় তাদের। শুধু তাই নয়।অধিকাংশেরই একাধিক স’'ঙ্গীর স’'ঙ্গে লি’'প্ত হওয়ার অ’ভিজ্ঞতা আছে। ফলে কার শ’রীরে কোনও সং’ক্র’মণ আছে, কেউ তা যাচাই করে দেখে না। এদিকে যথাযথ সময় বিয়েটাও করে নেয়।
ফলত পাত্র/পাত্রী HIV, গনোরিয়া, সিফিলিসের মতো যৌ''aনরো’গে আ’ক্রা'ন্ত কি না বলা কঠিন। তাছাড়া, কেউ এই নিয়ে মুখ খোলে না। একমাত্র মেডিক্যাল টেস্ট করালেই গো’পন সং’ক্র’মণ ধ’রা পড়তে পারে।শুক্রা'ণু পরীক্ষা: বিয়ের পর সব দম্পতিই স’ন্তান নিতে চান। কিন্তু অনেকসময় স’ন্তান ধারণে অসুবিধার সম্মুখীন 'হতে হয় স্বা’মী-স্ত্রী’কে। এর কারণ 'হতে পারে স্বা’মী-স্ত্রী দু-জনেই।
স্ত্রীর শ’রীর অনেকসময় স’ন্তান ধারণের উপযুক্ত পরিস্থিতিতে থাকে না বলে স’ন্তান আসে না। কিন্তু সেটা আগে থেকে জানা যায় না। তবে পুরু’ষের অক্ষ’মতা কিন্তু মালুম হয় শুক্রা'ণু পরীক্ষা করালেই। ব্লাড গ্রুপ: পাত্র/পাত্রীর ব্লাড গ্রুপ জানাও খুব জরুরি। কারণ নেগেটিভ ও পজ়িটিভ ব্লাড গ্রুপের না’রীপুরু’ষের বিয়ে হলে পরবর্তীকালে স’ন্তান ধারণে ঘটতে পারে বিপত্তি।
তবে এই শঙ্কাটি দেখা দেয় দ্বিতীয় স’ন্তান প্রসবের ক্ষেত্রে। অনেকসময় গ’র্ভেই স’ন্তান মা’রা যায়। কিংবা জ’ন্মের পর তার মা’রাত্মকরকম জন্ডিস হয়। মস্তিষ্কও ক্ষ’তিগ্রস্ত 'হতে পারে। যদিও আধুনিক চিকিৎসাব্যবস্থায় এটি রোধ করার প'দ্ধতি আছে। স’ন্তান জ’ন্মানোর সময় মায়ের শ’রীরে অ্যান্টিবডি ইঞ্জেকশন দিলে ক্ষ’তির সম্ভাবনা কমতে পারে।
মা’নসিকরো’গ পরীক্ষা: সাধারণ মেডিক্যাল পরীক্ষায় সাইকোলজিক্যাল সমস্যা ধ’রা পড়ে না। কিন্তু সত্যি বলতে কী, কোনও ব্যক্তিকে বিয়ে করার আগে সে স্বাভাবিক কি না জানা খুব দরকার। অর্থাৎ, দেখা দরকার তার কোনও মা’নসিক সমস্যা আছে কি না। এটি খতিয়ে দেখার জন্য পাত্র/পাত্রীর আচার ব্যবহার লক্ষ্য করতে হবে। পাড়া-প্রতিবেশী, বন্ধুবান্ধব ও অফিসের লোকজনের থেকে খোঁজখবর নিতে হবে।
বিয়ের সময় পাত্র/পাত্রীর বাড়ির লোক তাঁদের ছেলেমে’য়ে সম্প’র্কে কোনও খা’রাপ কথা বলে না। কিন্তু বিয়ের পর ধ’রা পড়ে আসল রূপ। সুতরাং, পাত্র/পাত্রীর মা’নসিক সমস্যা আছে কি না সেটা দেখা খুব জরুরি।প্রয়োজনে সাইকোলজিস্টের স’'ঙ্গে কথাও বলতে পারেন।