লক্ষ্মীপুরে শিশু তাসফিয়া সুলতানা রাফাকে (৪) নিয়ে প্রেমিকের স'ঙ্গে মা জান্নাতুল ফেরদাউস পালিয়ে গেছেন। এনিয়ে দুইবার প্রেমিকের স'ঙ্গে পালিয়েছেন তিনি। প্রথম বার একা পালালেও এবার স'ঙ্গে করে একমাত্র মেয়েটিকেও তিনি নিয়ে গেছেন। তবে রাফাকে ফিরে পেতে বাবা রাসেল মাহমুদ রোমান মর'িয়া হয়ে উঠেছেন। প্রায় দেড় মাস হয়ে গেলেও একমাত্র মেয়েটিকে দেখতে না পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন অসহায় বাবা। আ'দালত ও পু'লিশ প্রশাসনসহ আশপাশের মানুষের কাছে মেয়েকে ফিরে পাওয়ার আকুতি জানাচ্ছেন তিনি।
জানা গেছে, গত ১৪ জুন রাফাকে নিয়ে তার মা জান্নাতুল ফেরদাউস প্রেমিক সাইফুল ইসলামের স'ঙ্গে দ্বিতীয়বারের মতো পালিয়ে যান। এ ঘটনায় রোমান সদর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। দেড় মাস অতিক্রম হলেও মেয়েকে না পেয়ে রোববার দুপুরে লক্ষ্মীপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সদর) আ'দালতে জান্নাতুল ফেরদাউস, তার প্রেমিক সাইফুল ও সহযোগী কাওছার আহম্মেদকে আ'সামি করে একটি মা'মলা দায়ের করেন। তারা সদর উপজে'লার দক্ষিণ হা'মছাদী ইউনিয়নের হেতিমপুর গ্রামের বাসিন্দা।
বাদীর আইনজীবী লুৎফুর রহমান গাজী বলেন, মা'মলাটি আ'দালতের বিচারক রায়হান চৌধুরী আমলে নিয়েছেন। এটি ত'দন্ত করার জন্য জে'লা গোয়েন্দা পু'লিশকে (ডিবি) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এজাহার সূত্র জানা যায়, ব্যবসায়ী রোমান ও জান্নাতুল ফেরদাউসের স'ঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। প্রায় ৫ বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। একবছর পরই তাদের সংসারে নতুন অতিথি হিসেবে রাফার জন্ম হয়। ব্যবসার কাজে রোমান রাজধানীতেই থাকতেন। এ সুযোগে জান্নাতুল ফেরদাউস স্বামীর বন্ধু সাইফুল ইসলামের স'ঙ্গে প'রকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে।
স্থানীয়দের কাছে সাইফুল ও জান্নাতুল ফেরদাউস হাতেনাতে আট'ক হয়। গত ৪ এপ্রিল শিশু মেয়েটিকে রেখে জান্নাতুল প্রেমিক সাইফুলের স'ঙ্গে পালিয়ে যায়। এ সময় তাদের বিয়েও হয়। পরে সালিশি বৈঠকের মাধ্যমে শিশু রাফার কথা চিন্তা করে জান্নাতুল ফেরদাউসকে ফের ঘরে তোলেন রোমান। দুই মাসের মাথায় গত ১৪ জুন ফের ওই নারী প্রেমিকের হাত ধরে পালিয়ে যায়। এবার শিশুটিকেও স'ঙ্গে নিয়ে গেছে।
মা'মলার বাদী রাসেল মাহমুদ বলেন, সাইফুল আমা'র ছোটবেলার বন্ধু। সম্পর্কেও চাচা-ভাতিজা। সাইফুলের স'ঙ্গে আমা'র স্ত্রীকে পালিয়ে যেতে কাওছার সহযোগিতা করেছে। তারা পালিয়ে যাওয়ার সময় আমা'র মেয়েটিকে নিয়ে গেছে। দেড় মাস হয়ে গেছে আমি মেয়েটির খোঁজ পাচ্ছি না। কিভাবে আছে, কেমন আছে? আমা'র মেয়েটিকে তারা কি করেছে? তাও জানতে পারছি না। রাফাকে অক্ষত অবস্থায় আমা'র কোলে ফিরিয়ে দিতে প্রশাসনসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।