কক্সবাজারের চকরিয়ায় টাকা ধার দেওয়ার কথা বলে আবাসিক হোটেলে তুলে এক সৌদিপ্রবাসীর স্ত্রীকে ধ`র্ষ`ণের অ`ভিযোগ উঠেছে চকরিয়া উপজে'লা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম ফরহাদের (৩০) বিরু'দ্ধে।অ'ভিযোগ অনুযায়ী, ওই নেতা আগে থেকে হোটেল রুমে বসানো গো'পন ক্যামেরায় নি`র্যা`তনের ভিডিও ধারণ করেন।
পরে সেই ভিডিও দেখিয়ে বেশ কয়েকবার ধ`র্ষ`ণ করা হয় `নি`র্যাতি`তাকে। এরপর মোটা অ'ঙ্কের টাকা দাবি করে প্রত্যাখ্যাত হন তৌহিদ। তখন তিনি নি`র্যা`তনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। এরপর ভু`ক্তভোগীকে শ্বশুরবাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
গত শুক্রবার রাতে এমন অ'ভিযোগ এনে চকরিয়া থানায় এজাহার দিয়েছেন ভুক্তভোগী। গতকাল শনিবার সকালে ওই নারীর শ্বশুরবাড়ি ও আ'সামির বাড়ি পরিদর্শন করেছে পু'লিশ। তবে এ সময় অ'ভিযুক্ত তৌহিদকে খুঁজে পায়নি পু'লিশ। বন্ধ ছিল তাঁর মুদি দোকানও।
এজাহারের বর্ণনা অনুযায়ী, ধ`র্ষ`ণের প্রথম ঘটনা ঘটে গত ১৪ জুলাই দুপুর দেড়টার দিকে। চকরিয়া পৌর শহরের বালিকা বিদ্যালয় সড়কের ওশান সিটি মা'র্কে'টের তৃতীয় তলার আবাসিক হোটেল সিলভারের একটি কক্ষে ধ`র্ষ`ণ ও ভিডিও চিত্র ধারণের ঘটনাটি ঘটে।
বাদীর ভাষ্য, শ্বশুরবাড়ির কাছে হওয়ায় প্রতিনিয়ত তৌহিদের দোকান থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র তিনি কিনতেন। এরই মধ্যে জমি কেনার জন্য টাকার সংকটে পড়ায় তিনি ৫০ হাজার টাকা ধার চান তৌহিদের কাছে।
সেই টাকা দেওয়ার কথা বলে ভুক্তভোগীকে হোটেলে নিয়ে যান তৌহিদ।সেখানে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে তাঁকে ধ`র্ষ`ণ করে অ'ভিযুক্ত।ত'দন্তকারী কর্মকর্তা চকরিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) গো'লাম সারওয়ার বলেন, ‘`ধ`র্ষ`ণ, প`র্নোগ্রাফি
ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ধা'রায় থানায় দেওয়া অ`ভিযোগটি ত'দন্ত করে দেখা হচ্ছে। অ`ভিযুক্তকে ধ`রতে বাড়িতে অ'ভিযান চালানো হয়েছে। এ সময় তার দোকানও বন্ধ ছিল। পলা`তক থাকায় তাকে আ`টক করা যায়নি।’
এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার ওসি শাকের মোহা'ম্ম'দ যুবায়ের বলেন, ‘ভি`কটিমের লিখিত অ`ভিযোগ পাওয়ার পর একজন অফিসারকে প্রাথমিকভাবে ত'দন্ত করতে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পেলে পরবর্তী আইনগত পদ'ক্ষেপ নেওয়া হবে।’