কানে দুটি স্বর্ণের (৩ আনা) দুল ছিল সাত বছরের শিশু পপি সাহার।দুলগু'লোর লোভে পড়েন পাশের বাড়ির ভাড়াটিয়া রুমা আক্তার। হঠাৎ নিখোঁজ হয় পপি। আশপাশ ও সম্ভাব্য স্থানে খুঁজেও তাকে পাওয়া যাচ্ছিল না। এতে স্থানীয়রা সি'দ্ধান্ত নেন, সবার ঘরে তল্লা'শি করা হবে।
এটা জেনে রুমা ও তার স্বামী এমর'ান হোসেন পালানোর চেষ্টা করেন। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে আট'ক করেন এবং ঘর তল্লা'শি করে খাটের নিচে পপির মর'দে'হ দেখতে পান। পরে এ দম্পতিকে গাছের স'ঙ্গে বেঁধে রাখেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পু'লিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের আট'ক করে এবং পপির মর'দে'হ উ'দ্ধার করে ময়নাত'দন্তের জন্য মর'্গে পাঠায়।
বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজে'লার কেরোয়া ইউনিয়নের সাগরদি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দম্পতিকে আট'ক করলেও দুল খুঁজে পায়নি পু'লিশ।
নি'হত পপি সাগরদি গ্রামের সৌদি প্রবাসী নির্মল সাহার মেয়ে। ২৫ দিন আগে নির্মল স্ত্রী-মেয়েকে রেখে চাকরির খোঁজে সৌদি আরব যান। পপি সাগরদি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
অ'ভিযুক্ত এমর'ান গাছ কা'টার শ্রমিক ও কেরোয়া ইউনিয়নের মীরগঞ্জ বাজার এলাকার বাসিন্দা। স্ত্রী রুমাকে নিয়ে দুই মাস ধরে তিনি সাগরদি গ্রামের কাতার প্রবাসী আবুল কাশেমের বাড়িতে ভাড়া থাকেন।
স্থানীয়রা জানায়, সকাল সাড়ে ১০টা থেকে পপিকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। এতে আশপাশ এলাকা ও সম্ভাব্য স্থানে তাকে খোঁজ করা হয়। কোথাও না পেয়ে পার্শ্ববর্তী ঘরগু'লোতে তল্লা'শি করার সি'দ্ধান্ত নেওয়া হয়। বি'ষয়টি জানতে পেরে পাশের বাড়ির ভাড়াটিয়া রুমা ও এমর'ান পালানোর চেষ্টা করেন। টের পেয়ে উপস্থিত লোকজন তাদেরকে আট'ক করেন। পরে তাদের ঘরে ঢুকে খাটের নিচে পপির মর'দে'হ পাওয়া যায়। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে বাড়ির সামনে গাছের স'ঙ্গে বেঁধে রেখে পু'লিশে খবর দেন।
স্থানীয়রা আরও জানান, পপিকে অন্যান্য স্থানে খোঁজ করার সময় রুমা ও এমর'ান অন্যদের মতো নি'হতের মা ববিতার স'ঙ্গেই ছিলেন। তাদেরকে তখন ভীত দেখাচ্ছিল। রায়পুর থানার ভারপ্রা'প্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল জলিল বলেন, শিশুটির মর'দে'হ উ'দ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আট'ক স্বামী-স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ বি'ষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।