ইসলামী শরীয়তে এক পুরুষ চার স্ত্রী রাখার নিয়ম বা জায়েজ রয়েছে কিন্তু এক নারী তিন স্বামী রাখা সম্পূর্ণ নি'ষি'দ্ধ এবং হারাম। বর্তমান সমাজে বাস্তবেও এমন দৃশ্য দেখা যায়, যেখানে এক নারীর একাধিক স্বামীর পাশাপাশি আছে প্রেমিকও।
এমন এক চাঞ্চল্যকর ঘটনার জন্ম দিয়ে মাম;লার মুখোমুখি হয়েছে রা'ঙ্গামাটির এক নারী। এই নারীর অন্তত ৪টি ভিন্ন নামের পরিচয়পত্র, তিনজন বৈধ স্বামী, বৈবাহিক সম্পর্ক বলবৎ থাকা অবস্থায় অন্য পুরুষকে বিয়ে করাসহ একাধিক প'রকীয়া সম্পর্কের সত্যতা মিলেছে। এই নারী কখনো মিনু, কখনো সুমি, কখনো ফাতেমা আবার কখনোবা রোমানা নামে পরিচয় দেন। অ'ভিযুক্ত মিনু আক্তার ওরফে নাছমিন আক্তার সিমু ওরফে
মোছাম্মৎ ফাতেমা খাতুন প্রকাশ ফাতেমা আক্তার রোমানা(৩৬) রাঙামাটি জে'লার বাঘাইছড়ি থানার বাঘাইছড়ি ইউনিয়নের উগলছড়ি এলাকার আলী আহম'দের মেয়ে। বর্তমানে তিনি গাজীপুর জে'লার ট'ঙ্গী এলাকার দত্ত পাড়ার শাহীনুর কুঞ্জে বসবাস করছেন বলে মা;মলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আ'দালতে প্রবাসী স্বামীর মা'মলার পর এসব চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে
মা'মলা সূত্রে জানা যায়, এই নারীর বিভিন্ন নামের বিপরীতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যেমন রয়েছে, তেমন রয়েছে একাধিক নামে একাধিক জাতীয় পরিচয়পত্র এবং ২টি নাগরিক সনদপত্র। আপাতত তার তিনজন বৈধ স্বামীর পরিচয় পাওয়া গেছে, যাদের সাথে বিয়ের বৈধ ডকুমেন্ট আছে। আছে একাধিক জনের সাথে প'রকীয়ার সম্পর্কের ছবি ও ভিডিও চিত্র। শুধু তাই নয়, একাধিক প্রতিষ্ঠানে ছদ্মনাম এবং ভিন্ন ভিন্ন নামের
সার্টিফিকেট ব্যবহার করে একাধিক চাকুরিও করেছেন তিনি নির্বিঘ্নেই।অবশেষে চট্টগ্রামের আ'দালতে ওই নারীসহ এই চক্রের তিন সদস্যের নামে মা'মলা করেছেন ভুক্তভোগী এক প্রবাসী। প্রবাসীর পক্ষে আ'দালতে মা'মলাটি করেন এডভোকেট গো'লাম মাওলা মুরাদ। আ'দালতের কাছে এই ব্যাপারে ন্যায় বিচার প্রত্যাশা করছেন আইনজীবী গো'লাম মাওলা মুরাদ। মা'মলার বিবরণসহ প্রা'প্ত কাগজপত্রে দেখা যায়, ২০০৮ সালে তৈরি
করা একটি জাতীয় পরিচয়পত্রে মোছা: ফাতেমা খাতুন (জাতীয় পরিচয়পত্র নং-১৯৮৯৮৮১২৭২৭১৭০৫২৪) নাম ধারন করে এই মহিলা স্বামী হিসেবে জনৈক লুৎফর রহমান এবং মা হিসেবে শামসুন নাহারের নাম উল্লেখ করেন। আবার ২০২০ সালের একটি জাতীয় পরিচয়পত্রে দেখা যায় একই মহিলার নাম নাছমিন আক্তার সিমু (জাতীয় পরিচয়পত্র নং- ৩৭৬৪৬৬৭০৫৫)। পিতার নাম মো. আলী আহা'ম্ম'দ ও মাতার নাম
শামসুন নাহার। অ'পর একটি নাগরিক সনদপত্রে দেখা যায় পিতা-মাতার নাম ঠিক রেখে একই মহিলার নাম উল্লেখ রয়েছে মিনু আক্তার। ওই মহিলায় আবার পিতা-মাতার নাম এবং নিজের ঠিকানা একই রেখে ঢাকার সাফা সোয়েটার লি. নামে একটি প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করছেন ফাতেমা আক্তার রোমানা নাম নিয়ে ভিন্ন সনদ দিয়ে। ২০০৮ সালের কোন এক সময়ে বিয়ে করেন টা'ঙ্গাইলের লুৎফর রহমান নামে এক ব্যক্তিকে।সেই
সংসারে একটি সন্তানও রয়েছে বলে জানা গেছে। ২০০৮ সালের একটি এনআইডি কার্ডে ওই স্বামী লুৎফুর রহমানের নাম উল্লেখ করা আছে।একই মহিলা মিনু আক্তার নাম ধারন করে ২০১৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারী ইমাম হোসেন নামে এক প্রবাসীকে বিয়ে করেন। কাতার প্রবাসী ঐ ব্যক্তির সাথে বিয়ে বলবৎ থাকা অবস্থাতেই আবার ২০২০ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারী ঢাকায় গিয়ে বিয়ে করেন মোস্তফা জামিল নামে এক ব্যক্তিকে।
তারও আগে সীতাকুন্ডে মো. রাশেদ নামে এক গ্রাম্য ডাক্তারের সাথে অন্তত ৪ বছর ধরে চালিয়ে আসছিলেন বিবাহ বহির্ভূ'ত প'রকীয়ার সম্পর্ক। যার অসংখ্য ডকুমেন্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমের সুবাদে সন্ধান মিলেছে। এখনো সে সম্পর্ক চলমান আছে বলে জানা গেছে।যেসব পুরুষদের সাথে ওই মহিলার বিয়ে হয়েছে তারা প্রত্যেকেই এখন রয়েছেন বিয়ে ভীতিতে।
ঢাকায় বিয়ে হওয়া মোস্তাফা জামিলের পাশাপাশি চট্টগ্রামের আ'দালতে যিনি মা;ম;লা ক;রেছেন ওই মহি;লার বিরু;'দ্ধে সেই ইমাম হোসেনও বিয়ে আতংকের পাশাপাশি র;য়েছেন মি;থ্যা মা;ম;লার আ;তংকে। ইতোমধ্যে তাকে মিথ্যা মা;মলায় ফাঁ';সিয়ে দেয়া;র ;হু’ম;কিও দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এ ধরনের অ'পকর্ম করে কেউ যেন পার পেতে না পারে এবং নিরীহ কোন মানুষ যেন আর প্রতারনার শিকার না হয় সেজন্যই আ'দালতের নজরে এনেছেন বলে জানিয়েছেন প্রবাসী ইমাম হোসেনের আইনজীবী গো'লাম মাওলা ;মুরাদ।সংশ্লিষ্ট ধা;রায় মাম;লা দায়েরের মাধ্যমে তিনি বহুরুপী এই মহিলাসহ এই চক্রের সাথে জড়িত;দের ;শা;স্তির দাবি জানিয়েছেন।