মা ও মেয়ে, দুইজনের স'ঙ্গেই একস'ঙ্গে ‘স’ম্পর্ক’ ছিল আ’ট’ক প্রেমিক সৌরভের। মা ও মেয়ে দু’জনের স'ঙ্গেই ‘সে’ক্স চ্যাট’ করতো সৌরভ। লিভ-ইন স’ম্পর্কও ছিল।ভারতের গড়িয়াহাটে বৃ'দ্ধা খু’ন কা’ণ্ডের ত’দন্তে সামনে আসলো চাঞ্চল্যকর তথ্য।জানা গেছে, ফেসবুকে প্রথম গু'ড়িয়ার স'ঙ্গে যোগাযোগ হয় সৌরভের।
সেখান থেকে ডিম্পলের স'ঙ্গেও বন্ধুত্ব হয় সৌরভের। ফোনে ‘হার্টবিট’ নামে সৌরভের নম্বর সেভ করে রেখেছিলেন ডিম্পল। সেই ‘হার্টবিট’ নাম দেখেই সন্দে'হ বাড়ে পু’লিশের।আ’ট’ক সৌরভ পুরীকে জেরা করে পু’লিশ আরও জানতে পেরেছে, খু’নের আগে ৩ মাস ধরে বেশ কয়েকবার কলকাতায় যাতায়াত করে সে। প্রতিবারই কলকাতায় এসে রিচি রোডে ডিম্পলের ফ্ল্যাটেই উঠতো।
এবার খু’নের দিন ১৫ আগে সৌরভ কলকাতায় আসে। তবে পু’লিশের দৃষ্টি ঘোরানোর জন্য বুধবার (১১ ডিসেম্বর) দিল্লির বিমানবন্দর লোকেশনের একটি ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে। যদিও সেদিন রাতেই বৃ'দ্ধা উর্মিলা ঝুন্ডকে খু’ন করে সৌরভ।বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) নিজের ঘরেই উ’'দ্ধার হয় গড়িয়াহাটের গরচা ফার্স্ট লেনের
বাসিন্দা বৃ'দ্ধা উর্মিলা ঝুন্ডের ক্ষতবিক্ষত দে'হ। খু’নের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।মুণ্ডচ্ছেদ করে নৃ’শংসভাবে খু’ন করা হয়েছিল বৃ'দ্ধা উর্মিলা ঝুন্ডকে। তলপেটে একাধিকবার কো'পানোর চিহ্ন ছিল। কিন্তু কোনও গোঙানি বা চিত্কারের আওয়াজ পায়নি কেউ। আর এটাই মূল চাবিকাঠি হয়ে ওঠে পু’লিশি ত’দন্তে।
শুধুমাত্র লুঠপাট নাকি এর পিছনে অন্য কোনও পারিবারিক বিবাদ রয়েছে? ত’দন্তে নেমে সেই সূত্র ধরে এগোয় পুলশ। গ্রে'’ফতার করা হয় বৃ'দ্ধার পুত্রবধূ ডিম্পল ও অষ্টাদশী নাতনি গু'ড়িয়াকে। আ’ট’ক এই দু’জনকে জেরা করেই উঠে আসে সৌরভ পুরীর নাম।জেরায় জানা যায়, খু’নের সময় উপস্থিত ছিলেন না ডিম্পল।
তবে খু’নের আগে বৃ'দ্ধার স'ঙ্গে ডিম্পলকে মোবাইল ফোনে কথা বলানো হয়। পু’লিশ আরও জানতে পারে বৃ'দ্ধার মুণ্ডচ্ছেদ করে সৌরভ। পুত্রবধূ ডিম্পল ও নাতনি গু'ড়িয়াকে জেরা করেই সৌরভের গতিবিধি জেনে যায় পু’লিশ। সেদিন উর্মিলা ঝুন্ডকে খু’নের পর গরচা রোডে বৃ'দ্ধার ঘরের আলমা’রি থেকে নগদ এক লাখ টাকা নিয়ে বেরয় সৌরভ।
এরপর রিচি রোডের ফ্ল্যাটে এসে গু'ড়িয়াকে দিয়ে অনলাইনে বিমানের টিকিট কাটে। তারপর প্রথমে দিল্লি হয়ে চণ্ডীগড় উড়ে যায় সৌরভ। ডিম্পলের মোবাইলে ‘হার্টবিট’ নাম দেখেই সন্দে'হ হয় পু’লিশের। সেই সূত্র ধরেই রাতে পাঞ্জাব থেকে প্রেমিক সৌরভ পুরীকে গ্রে'’ফতার করে পু’লিশ।