মনিরুল ইসলাম মনির নামে এক বাংলাদেশি গ্রে''প্তার হয়েছেন ভারতের গু'জরাটের সুরাটে। তার বিরু'দ্ধে ২০০ নারীকে পাচারের অ'ভিযোগ রয়েছে।
ভয়েস অব আমেরিকার এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, মনিরুল ইসলাম মনিরের বাড়ি বাংলাদেশের যশোরে। ভারতের মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর পু'লিশের বিশেষ ত'দন্ত শাখার সদস্যরা তাকে গ্রে''প্তার করে। আট'কের পর বুধবার তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য পাচ্ছে পু'লিশ।
মনির স্বীকার করেছে দরিদ্র মেয়েদের বিয়ে করে পাচার করাই ছিল তার পেশা। দুটি-পাঁচটি নয়, মনির বিয়ে করেছে ৭৫টি। নিজের বিয়ে করা স্ত্রীদের অবৈ'ধভাবে সীমা'ন্ত পাড়ি দিয়ে নিয়ে যেত কলকাতায়। তারপর বিক্রি করে দিত ভারতের বিভিন্ন পতি'তালয়ে।
ভারতীয় পু'লিশ জানতে পারে বাংলাদেশের নারী পাচারের স'ঙ্গে বিশাল একটি চক্র জড়িত। মনির তাদের একজন। পু'লিশ গত ১১ মাসে ভারতের বিভিন্ন এলাকা থেকে ১১ জন বাংলাদেশি নারীকে উ'দ্ধার করেছে। তাদের কাছ থেকে জানতে পেরেছে মনিরের নাম। এরপর মধ্য প্রদেশ পু'লিশ মনিরের খোঁজে ১০ হাজার রুপি পুরস্কার ঘোষণা করে। শেষ পর্যন্ত তাকে আট'ক করা হয়।
মনির পু'লিশকে বলেছে, দালালের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে নারীদের ভারতে নেওয়া 'হতো। পশ্চিমব'ঙ্গের মুর্শিদাবাদে প্রথম তাদের রাখা 'হতো। এরপর তাদের পাঠিয়ে দেওয়া 'হতো কলকাতা, ভোপাল, ইন্দোরসহ ভারতের বিভিন্ন স্থানে। মনিরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পু'লিশ অনেক তথ্য পেয়েছে।
বিজয়নগর পু'লিশের সিনিয়র কর্মকর্তা তেহজিব কাজী জানান, কয়েক দিন আগে সুরাট নি'ষি'দ্ধ পল্লীর এক দালালকে গ্রে''প্তার করা হয়। তার বক্তব্যের ভিত্তিতে একটি গেস্ট হাউসে অ'ভিযান চালিয়ে ২১ জন নারীকে উ'দ্ধার করা হয়। যাদের ১১ জনই বাংলাদেশি। এ সময় সেখানে অবস্থান করা মনির পালিয়ে যায়। পরে পু'লিশ তাকে আট'ক করে। পু'লিশ নারী পাচার চক্রের তথ্য জানতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। সএ:আরটিভি