চোখ দিয়ে ঝরছে র’ক্তধা’রা। ঝ’রছে নাক ও মুখ দিয়েও। জীবনে যেন দু’র্যো’গ নেমে এসেছে কিশোরী সাদিয়া আক্তার মুক্তার।নবম শ্রেণিতেই থমকে গেছে পড়ালেখা। অজানা ব্য’ধিতে আ’ক্রা'’ন্ত কিশোরীর জীবন এখন দু’র্বি'ষ’হ।
মেয়ের এমন অবস্থায় দি’শেহা’রা তার দরিদ্র বাবা-মা। বাবা নিজের ও শ্বশুর বাড়ির জমি বিক্রি করে দুই বছরের বেশি সময় ধরে মেয়ের চিকিৎসা নিয়ে ছুটতে ছুটতে নিঃ’স্বপ্রা’য়। এখন উপার্জনের স্ব’ল্প টাকায় মেয়ের চিকিৎসা কিভাবে হবে, ভেবে কু’লকি’নারা পাচ্ছেন না।
সাভারের তেঁতুলঝোড়ার দক্ষিণ শ্যামপুর গ্রামে ভাড়া বাসায় বসবাস মুক্তাদের। গ্রামের বাড়ি নাটোর জে'লার সদর থানার হয়বতপুরে। পরিবারে মুক্তার বড় ও ছোট আরো দুই ভাই রয়েছে। মা গৃহিনী।
তবে আগে তিনি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। এখন বাবা মাসুদ রানাই পরিবারের একমাত্র উপা’র্জনক্ষ’ম। তিনি স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপের পোশাক কারখানার বয়লার অ'পারেটর। মাত্র ষোল হাজার টাকা বেতনে পরিবারের ভর’ণপো’ষণেই হিমসিম খেতে হচ্ছে।
মাসুদ রানা বলেন, ‘আমি তিনদিনের ছুটিতে নাটোরে দেশের বাড়িতে গেছিলাম। ওইখানে ২০১৮ সালের ১১ আগস্ট রোড এ’ক্সিডে’ন্টের শি’কার হই। ডান পা ভেঙে যায়। ও (মুক্তা) স’হ্য করতে পারে নাই, ২৪ আগস্ট স্ট্রো’ক হয়।
তখন ওর বয়স ১৩ বছর। আমা'র আর মেয়ের এ অবস্থা দেখে স্ট্রো’ক করে আম্মা মা’রা গেলো। এরপর আমা'র দাদিও মা’রা গেলো। এরপর থেকে ওর অ’সুস্থতা বাড়তে থাকে। এক সময় মুখ দিয়ে র’ক্ত পড়ে। তারপরে নাক দিয়ে। এরকম করতে করতে এখন দুই চোখ, মুখ, নাক দিয়ে র’ক্ত পড়ছে অ’ঝো’রে।’
মাসুদ রানা বলেন, ‘র’ক্ত প’ড়ার সময় চোখ জ্বা'’লাপো’ড়া করে। নিঃশ্বা’স ব’ন্ধ হয়ে যায়। একদম মা’রা যাওয়ার উপক্রম এরকম হয়ে যায়। প্রথম পা’তলা র’ক্ত আসতো। এরপর দেখি ঘন।
চোখের পানি যেরকম পড়ে ওই ভাবে দুই চোখ বেয়ে পড়ে। কখনও দশ মিনিট র’ক্ত পড়ে। আবার কখনও এক ঘন্টা ধীরে ধীরে পানির মতো পড়তে থাকে। কখনও দুই-চার মিনিট পড়ার পরেই বন্ধ হয়ে যায়, স্বাভাবিক হয়ে যায় এরকম। ব’মি যতক্ষণ বন্ধ না হয়, র'ক্ত পড়তেই থাকে। দিনে তিন-চার বার র’ক্ত আসে। দিনে না হলে রা’তে র’ক্ত পড়েই।’
তিনি বলেন, ‘যখন স্বাভাবিক হয় আমি বুঝতেই পারি না যে ওহ অ’সুস্থ। খালি বুঝা যায় মুখ বাঁ’কা হয়ে গেছে, চোখ ট্যা’রা হয়ে গেছে। মানে স্ট্রো’ক করলে যা হয় এরকম। চিকিৎসার বি'ষয়ে তিনি বলেন, ‘আমা'র সাধ্য অনুযায়ী সব জায়গায় গেছি। ঢাকা নিউরো সাই’ন্স, শ্যামলি ব’ক্ষব্য’ধি, জাতীয় নাক কান গলা, এনাম মেডিক্যালে, রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজে দেখাইছি। সবশেষ শ’হীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে একমাস রাখছি।
পরে ডাক্তাররা বাইরে ইন্ডিয়ার ভেলরে নিয়ে যাইতে বলছে। প্রোপার ট্রিটমেন্ট ক’রা’নোর মতো আমা'র এবিলিটি নাই। বাংলাদেশেও যে আমি একটু ভালো চিকিৎসা করাবো এই এবিলিটি নাই। নরমাল চিকিৎসাও এখন করাতে পারি না।আমা'র সামান্য ষোল হাজার সাতশ টাকা বেতন। এছাড়া লাখ লাখ টাকা ঋ’ণ হয়ে গেছে চিকিৎসা করাইতে গিয়ে।’ তিনি বলেন, ‘ওর চিকিৎসার জন্য অনেক টাকা খরচ হইছে। আমা'র স’র্বস্ব’ই গেছে। এখন নিঃ’স্ব পর্যায়ে চলে আসছি।
ওর, আমা'র, ওর দাদীর একই টাইমে সব চিকিৎসা করাইতে হইছে। মিনিমাম লাখ দুয়েক টাকা হলে মেয়েকে আমি ইন্ডিয়া নিয়ে যেতে পারতাম। আমা'র মেয়ে সুস্থ হোক এতটুকুন পেলেই আমা'র জন্য যথেষ্ট।’ব'ঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রিপ্রোডাক্টিভ অ্যান্ড চাইল্ড হেলথ এর উপর উচ্চতর প্র'শিক্ষণরত ডা. আমজাদুল হক বলেন, ‘এটাতো সচরাচর দেখা যায় না। রোগীর প্রেসক্রিপশন ও ছবি দেখে বুঝলাম এখানে আসলে একটা রো’গ না একাধিক রো’গ আছে এবং ব্লা’ড ডি’জঅ’র্ডার আছে। স'ঙ্গে সাইকোলজিক্যাল এবং নিউরোলজিক্যাল প্রোবলেম আছে।’ যোগাযোগ : মাসুদ রানা মুক্তার পিতা : 01718-651980 (বিকাশ), হিসাব নং – 1508201964164001, ব্র্যাক ব্যাংক ইপিজেড শাখা, সাভার, আশুলিয়া।