প্রেমের জালে ধ’রা পড়ার পর বেরিয়ে আসছে মফিজ মিয়ার (৫৫) নানা কু-কীর্তি। এই আদম ব্যবসায়ী এলাকায় ‘সৌদি নানা’ নামে পরিচিত।
জোসনা নামের এক তরুণী শনিবার (২১ এপ্রিল) নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর এলাকা থেকে তাকে ধরে পু'লিশে দেন।মফিজ মিয়া কুমিল্লার হোমনার আলীপুর গ্রামের কেরামত মিয়ার ছেলে। আর জোসনার বাড়ি নরসিংদীর বেলাবোতে।
বড় বোন ফরিদাকে সৌদি আরবে পাঠানোর কথা বলে মফিজ ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা ও পাসপোর্ট নেন। এরপর দু’বছর কে'টে গেলেও তাকে সৌদি আরব পাঠাননি, টাকাও ফেরত দেননি।বড় বোনের টাকা উ'দ্ধার ও প্রতারণার প্রতিশোধ নিতে জোসনা মফিজ মিয়ার স'ঙ্গে প্রেমের নাটক করেন।
শ্যামলা বর্ণের মফিজ গোছাল।মচলন-বলনে ছিমছাম। পড়াশোনা তেমন করেননি। তবে ৫৫ বছর বয়সেও প্রযুক্তিতে সি'দ্ধহস্ত। সমানে ফেসবুক, টুইটার, ইমু, ভাইবার ব্যবহার করতে পারেন।
এসবের স'ঙ্গে মফিজ মিয়া আরেকটি কাজে ভীষণ পারদর্শী, মেয়ে পটানো। থাকেন সৌদি আরব। ঘনঘন আসেন দেশে। নারীদের স'ঙ্গে দু’চার কথা বলেই ভাব জমাতে পারেন তিনি। কুমিল্লার এই মফিজকে সৌদি আরব, কুমিল্লা ও নরসিংদীর মানুষেরা চেনেন ‘সৌদি নানা’ হিসেবে।
প্রেমিকা জোসনা জানান, প্রেমের সূত্র ধরে শুক্রবার মফিজ নানা তাকে বিছানায় নেয়ার প্রস্তাব দেন। সেটিকে কাজে লাগিয়েই তাকে ধরতে সমর'্থ হন তিনি।তিনি আরও জানান, প্রেম চলাকালীন ইমুতে দিনের পর দিন অ’শ্লী'ল ছবি পাঠাতেন মফিজ।
নিজের নানা ভ'ঙ্গিমা ছাড়াও অনেক নারীর স'ঙ্গে একান্ত মেলামেশার ছবি পাঠিয়ে একই কাজে তাকে আমন্ত্রণ জানাতেন।জোসনার ভাষ্যে, মফিজ শুক্রবার তাকে বলেন- দিনে তিনজন নারী লাগে তার।
দেশে যে ক’দিন থাকেন, এতেই মেতে থাকেন। সৌদি আরবের ভিসার আশ্বা'স দিয়ে নারীদের স'ঙ্গে তিনি সখ্যতা গড়ে তোলেন।পাসপোর্ট জমা নেয়ার পরই মফিজ তার আসল চেহারা প্রকাশ করেন। যে তার বিছানায় যেতে রাজি হন না, তাকে তিনি ভিসাও দেন না।
জোসনা বলেন, ‘মফিজ নানা যে কত নারীর সর্বনাশ করছে, তার কোনো শেষ নেই। তিনি অনেককে সৌদি আরব নিয়া বেইচা দিছে।’ জোসনার বড় বোন ফরিদা জানান, তাদের গ্রামের আরও দুই নারীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে সর্বনাশ করেছেন মফিজ মিয়া।মফিজ অবশ্য তার বিরু'দ্ধে আনা দুই বোনের সব অ'ভিযোগ অস্বীকার করেন।তিনি জানান, এখনঅব্দি তিনি কেবল দু’জন নারীকে সৌদি আরব পাঠাতে পেরেছেন। আর ফরিদাসহ দু’জনের পাসপোর্ট জমা নিলেও তাদের কাছ থেকে কোনো টাকা নেননি।
তবে দুই নারীকে সৌদি আরবের কোথায় চাকরি দিয়েছেন, তা তিনি জানাতে পারেননি। এদিকে, টাকা উ'দ্ধারের জন্য ফাঁ'দ পেতে মফিজ মিয়াকে পু'লিশে দিলেও থানায় এসে সমঝোতা করেছেন ফরিদা ও জোসনা। পু'লিশের মধ্যস্ততায় টাকা পাবেন বলে তারা কোনো মা'মলা করেননি।