বিজ্ঞ'প্তি জারি 'হতেই বিধবা বিবাহের এমন ধুম পড়ছে যে সরকারের কাছে পরিসংখ্যান নিয়ে কোনো তথ্যই নেই। তবে হঠাৎ এই উদ্যোগ কেন? বস্তুত,
গত জুলাই মাসে সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রকে বিধবা বিবাহে উৎসাহ দিতে নীতি নির্ধারণের পরামর'্শ দেয়। কিন্তু কেন্দ্রর বদলে। সরকার আগে এই উদ্যোগ নেয়।
আর তার জন্য আর্থিক প্যাকেজ দেওয়ার কথা ঘোষণা করে। যদিও ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের উদ্যোগে ১৮৫৬ সালেই আইন পাস করে বিধবা বিবাহ বৈধ হয় করা হয়। কিন্তু সরকারিভাবে খুব একটা বিধবা বিবাহে উৎসাহ দেওয়ার ঘটনা চোখে পড়েনি।
সংশ্লিষ্ট তহবিলে ২০ কোটি টাকা বরাদ্দও করেছে শিবরাজ সিং চৌহানের সরকার। ঘোষণা অনুযায়ী, ১৮ থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে কোনো বিধবা নারীকে বিয়ে করলেই পাত্রর হাতে দুই লাখ টাকা তুলে দেবে রাজ্য সরকার।
ভারতের মধ্যপ্রদেশের সমাজ কল্যাণ দফতরের মস্তিষ্কপ্রসূত এই নতুন উদ্যোগে ৪৫ বছরের নিচে কোনো বিধবা নারীকে বিয়ে করলেই পাবেন নগদ লাখ টাকা।
বড় দেশ ভারতে প্রথমবারের মতো এ ধরনের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জানা যায়, বিধবা বিয়ে করলেই পাওয়া যাব'ে নগদ দুই লাখ টাকা। রাজ্য সরকারের আশা, বছরে এক হাজার বিধবা নারীর পুনর্বিবাহ সম্ভব এই উদ্যোগে।তবে এ প্রস্তাব রাজ্যের অর্থ দফতরের কাছে পাঠানো হয়েছে অনুমোদন পাওয়ার জন্য। তারপর মন্ত্রিসভার বৈঠকে চূড়ান্ত অনুমোদন পেলেই তিন মাসের মধ্যে এই প্রকল্প চালু হবে বলে আশা করা যায়। এই প্রকল্পর দুর্ব্যবহার যাতে না হয় তাও নজরে রাখবে রাজ্য সরকার।
দুর্নীতি রুখতে সরকারের নীতি, অবশ্যই পাত্রকে অবিবাহিত 'হতে হবে। তবে এক্ষেত্রে আগের বিয়ে গো'পন করে এই প্রকল্পর সুবিধা নেওয়া যাব'ে না। দ্বিতীয়ত, জে'লা কর্মকর্তার দফতর থেকে বিয়ের রেজিস্ট্রি পত্র দেখাতে হবে। গ্রাম পঞ্চায়েত বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষর ইস্যু করা প্রমাণ বিবেচ্য হবে না।